আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন

আসসালামু আলাইকুম, আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি আপনারা হয়তো জানতে চেয়েছেন অনেকেই। বর্তমানে আমেরিকায় যাওয়ার জন্য মানুষ চেষ্টা করছে বেশি। কিন্তু যাওয়ার আগে অবশ্যই সেই দেশ সম্পর্কে আপনাকে সঠিক তথ্য জানতে হবে।

আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি

পোষ্টসূচিপত্রআপনার যদি জানা না থাকে আমেরিকা সম্পর্কে তাহলে আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন খুব সহজে।

আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি

ভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে আমেরিকা তবে কিছু কাজ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। আমেরিকা হচ্ছে বিশ্ব অন্যতম শক্তিশালী দেশ। তাই আপনাদের কাছে অনেকেই স্বপ্নের দেশ হলো আমেরিকা। মানুষ উন্নতি জীবনযাপন করার জন্য সবচেয়েতে বেশি বেশি নিচে আমেরিকা দেশকে।

বর্তমানে মানুষ আমেরিকা যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাই অবশ্যই আপনার যাওয়ার আগে প্রয়োজন জানার আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি। যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন আমেরিকায় কোন কাজে চাইতে বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

তাই আপনাদের সুবিধার্থে জানানো হলো বর্তমানে আমেরিকার কোন কাজের চাহিদা বেশি তার নিচে দেয়া হল
  • ডাক্তার
  • নার্স
  • ইঞ্জিনিয়ার
  • শিক্ষক
  • প্লাম্বার
  • ওয়েটার
  • ডেলিভারি ম্যান
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • নির্মাণ শ্রমিক
  • ড্রাইভিং
  • পেইন্টার
উল্লিখিত কাজ চাহিদা বর্তমানে আমেরিকায় বেশি। তাই অবশ্যই আপনি যদি আমেরিকায় যেতে চান তাহলে এই সব কাজের উপরে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কারণ আমেরিকা এইসব কাজের বেশি চাহিদা এবং এসব কাজে লোক বেশি নিয়ে থাকে।


আজকে আর্টিকালি মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করলাম আমেরিকায় কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে। কিন্তু এখন জানাবো আমেরিকায় কোন কাজের বেতন কত এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

আমেরিকার কোন কাজের বেতন কত

সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে আমেরিকা। আর মানুষ উন্নত জীবনযাপন করার জন্য আমেরিকাতে পারি জমাচ্ছে বর্তমানে। অবশ্যই আগে আপনার জানতে হবে যে কোন কাজে কত বেতন এই সম্পর্কে। যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আমেরিকার কোন কাজের বেতন কত

আর জানতে হলে আমাদের পোস্ট দিয়ে আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা নিচে টেবিল আকারে সাজিয়েছি।

আমেরিকার কোন কাজের কত বেতন :

পেশার নাম প্রযুক্তি

গড় বার্ষিক বেতন

নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর

$৯১,৮৬৩

ইউআই ডিজাইনার

$১০৭,৪১৯

ডেটা অ্যানালিস্ট

$৮০,১৫৭

আইটি ম্যানেজার

$১৫২,৮৬০

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

$১২০,০০০


পেশার নাম স্বাস্থ্যসেবা

গড় বার্ষিক বেতন

ফার্মাসিস্ট

$১১৮,৯৮০

অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট

$২৯৪,৪৫০

মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট

$৩৪,৬৭২

কার্ডিওলজিস্ট

$২৮২,৫০০

রেজিস্টার্ড নার্স

$৭৭,৬০০

জেনারেল প্র্যাকটিশনার

$১২৩,৪৬০

ডেন্টাল হাইজেনিস্ট

$৭৪,৪৪৩

ফিজিক্যাল থেরাপিস্ট

$৭২,৩৪৯


পেশার নাম ইঞ্জিনিয়ারিং

গড় বার্ষিক বেতন

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

$৯০,০০০

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

$৮৩,০০০

সিভিল ইঞ্জিনিয়ার

$৮৫,০০০




পেশার নাম ফিনান্স

গড় বার্ষিক বেতন

অ্যাকাউন্ট্যান্ট

$৭৭,২৫০

ফিনান্সিয়াল অ্যানালিস্ট

$৮৫,৬৬০

মর্টগেজ ব্রোকার

$৫৮,৬৪০

ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার

$১২৫,০০০




পেশার নাম শিক্ষা

গড় বার্ষিক বেতন

কলেজের অধ্যাপক

$৯৪,৮৬৮

উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক

$৬৭,৩৪০


পেশার নাম মার্কেটিং ও বিক্রয়

গড় বার্ষিক বেতন

রিয়েল এস্টেট এজেন্ট

$৯৮,৯৭৩

বিক্রয় ম্যানেজার

$৮০,০০০

মার্কেটিং ম্যানেজার

$৯০,০৮৫


পেশার নাম আইন

গড় বার্ষিক বেতন

প্যারালিগাল

$৫৭,৪৮৯

আইনজীবী

$১০৭,৮৫৫


পেশার নাম অন্যান্য

গড় বার্ষিক বেতন

পাইলট

$৭৭,৩১৭

নির্মাণ কর্মী

$৪৮,৬০৮

শেফ

$৫২,১৬০

ফায়ারফাইটার

$৪৯,৫২৬

পুলিশ অফিসার

$৫৯,২০২


উল্লিখিত থেকে আপনারা জানতে পারবেন বিভিন্ন পেশার গড় বেতন সম্পর্কে। বিভিন্ন হতে পারে বিভিন্ন রাজ্যের হার।অবসর নির্ভর করবে বিভিন্নভাবে আপনার অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, শিক্ষকতা বেতনের স্থান।

আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা অনেকেই আমেরিকা যেতে চান। কিন্তু আপনারা এই আমেরিকার সম্পর্কে তেমন তথ্য জানেন না। যদি জানা না থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলে মাধ্যমে সম্পন্ন তথ্য জেনে নিন। কারণ যেকোনো দেশে যাওয়ার আগে সে দেশ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে অবশ্যই।


আমেরিকায়  সর্বনিম্ন বেতন বর্তমানে ৭.২৫ ডলার ঘন্টা প্রতি। যা বাংলাদেশ টাকায় দাঁড়ায় ৭৯৫ টাকা। আমেরিকায় একজন সাধারণ কর্মী প্রতি ঘন্টায় সর্বনিম্ন ইনকাম করে ৭.২৫ ডলার। কারণ আমেরিকা প্রতিটি কর্মীর বেতন দেয়া হয় ঘন্টা চুক্তি করে।

আপনি যত ঘন্টা কাজ করবেন তত টাকা পাবেন। আর আপনাকে টাকা দেয়া হবে এক মাসে আপনি কত ঘন্টা কাজ করেছেন সে অনুযায়ী হিসাব করে। আমেরিকা সর্বনিম্ন বেতন কত এ বিষয়ে আপনাদের কাছে অনেকের অজানা। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা নিচে টেবিল আকারের দিলাম

রাজ্যের

ন্যূনতম মজুরি (প্রতি ঘন্টা)

ম্যাসাচুসেটস

$১৫.০০

ওয়াশিংটন ডিসি

$১৭.০০

নিউ ইয়র্ক

$১৬.০০

ক্যালিফোর্নিয়া

$১৬.০০

ফ্লোরিডা

$১২.০০

টেক্সাস

$৭.২৫

ওহাইও

$১০.৪৫

নিউ জার্সি

$১৫.১৩

ইলিনয়

$১৪.০০

কলোরাডো

$১৪.৪২

আমেরিকার সর্বোচ্চ বেতন কত

আজকে আর্টিকেলে আপনাদের কে জানাবো আমেরিকা সর্বোচ্চ বেতন কত এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আর জানতে হলে অবশ্যই আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকার আপনাকে পড়তে হবে। আমেরিকায় বিভিন্ন পেশা রয়েছে আর বিভিন্ন পেশার বেতন ও বিভিন্ন রকম।

একজন ইঞ্জিনিয়ারে সর্বোচ্চ বেতন মাসে ১ লাখ ৪৮ হাজার ডলার হতে পারে। আবার ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার এদের বেতন একই রকম হয়ে থাকে প্রায়। চলুন তাহলে দেরি না করে জানা যাক আমেরিকা সর্বোচ্চ বেতন কত তার তালিকা দেয়া হলো নিচে

পেশার নাম

প্রতি বছর সর্বোচ্চ বেতন

ডার্মাটোলজিস্ট

$৩০২,৭৪০

অর্থোপেডিক সার্জন

$৩০৬,২২০

ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন

$৩১১,৪৬০

এনেস্থেসিওলজিস্ট

$৩৩১,১৯০ 

কার্ডিওলজিস্ট

$৪২১,৩৩০

অর্থডোন্টিস্ট

$১৬৫,৭০০

এয়ারলাইন পাইলট

$২১৫,৬০০ 


তথ্যের উপরে ভিত্তি করে বলা যায় আপনি যদি উচ্চশিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশিক্ষণের ফলে এ পেশা গুলোতে যোগদান করতে পারবেন এবং এমন ভালো পরিমাণ বেতন পেতে পারেন।

আমেরিকা কাজের ভিসা খরচ কত

বর্তমানে আপনারা অনেকেই জানেন না আমেরিকা কাজের ভিসা খরচ কত এই সম্পর্কে। অবশ্যই আপনি যদি আমেরিকায় যেতে চান তাহলে আপনার জানা থাকা দরকার আমেরিকা কাজের ভিসার খরচ কত এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো।


আমেরিকার কাজের ভিসা পেতে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের খরচ জড়িত থাকে। H-1B ভিসাটা পেতে আপনার আবেদনটি প্রায় খরচ হবে ১৭ হাজার টাকা। তবে অন্যান্য খরচ মিলে প্রায় বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা কাজের ভিসা নিয়ে যেতে আপনার মোট খরচ পড়বে ২৫ লাখ থেকে ৪৫ লাখের মতো।

আমেরিকার ভিসা করতে কি কি লাগে

  • ভিসা ধরন নির্ধারণ
  • অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ
  • সাক্ষাংকারের জন্য সময় নির্ধারণ
  • ভিসা ফি প্রদান
  • সাক্ষাংকার অংশগ্রহণ।

আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন লাগে

ভিসার উপরে নির্ভর করে আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং এর সময়কাল। নন ইমিগ্রোন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে ৩-৫ সপ্তাহের মত। তবে যদি কাগজপত্রের কোন জটিলতা বা ঘাটতি থাকে তাহলে ভিসা প্রসেসিং করতে আরো বেশি সময় লাগে। তাও প্রায় সময় লাগে ৯০ দিন পর্যন্ত।

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ওয়েব সাইটে কল সেন্টারের মাধ্যমে সর্বশেষ তথ্য পেতে পারেন ভিসা প্রসেসিং এর সময়কাল নির্ধারণ জন্য।

FAQ।আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি 

আমেরিকায় সর্বনিম্ন বেতন কত?

আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৭.২৫ ডলার। যা বাংলাদেশ টাকায় ৭৯৫ টাকা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন কাজের অভাব আছে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অভাব আছে স্বাস্থ্য সেবা, সামাজিক সহযোগিতা, উৎপাদনে, সর্বোচ্চ স্তরগুলোতে নিয়োগে অসুবিধা রয়েছে।

আমেরিকা কাজে করার সুবিধা?

আমেরিকা কাজে করার সুবিধা সবচেয়ে সামাজিক নিরাপত্তা।

শেষ কথা।আমেরিকা কোন কাজের চাহিদা বেশি

প্রিয় পাঠক আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন আমেরিকায় কোন কাজে চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগে বা কোন প্রকারে আসে তবে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

আর আপনার বন্ধু বান্ধবী ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করবেন আমাদের পোস্টটি। আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url