রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন

বর্তমানে অনেকে রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান।অনেক সময় দেখা যাবে একটি সুস্থ মানুষের চোখে ঘুম আসতে চায় না। কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। 

রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে

পোষ্টসূচিপত্রএবং আমাদের নিত্যদিনের কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছা করে। আপনি যদি রাতের বেলা পর্যন্ত পরিমাণ না ঘুমান তাহলে আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে টক্সিন নামক পদার্থ। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব আসবে এবং সব কাজে অলসতা বেড়ে যায়। 

রাতে ঘুম না আসার কারণ কি

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি রাতে ঘুম না আসে এই সমস্যা নিয়ে থাকেন তাহলে আজকে আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকে আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব রাতে ঘুম না আসা কারণ কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আর জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে আপনাকে পড়তে হবে


বর্তমানে প্রায় মানুষ এই সমস্যা নিয়ে ভুগছি। বর্তমান নিয়ে বিভিন্ন কারণে মানুষের ঘুম আসে না যেমন শারীরিক দুর্বলতা, টেনশন, রোগ ব্যাধি ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে কারণে। বর্তমানে মানসিক প্রায়ই সকলে বুক তো ভোগান্তি রাতে ঘুম না আসেনা বারবার ঘুম ভেঙ্গে যায় এই সমস্যা নিয়ে।অনিকে ঘুম কমে যায় বা ঘুম পাতলা হয়ে যায় বয়সের বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি লক্ষণ দেখা যায়।

কিন্তু বর্তমান নিয়ে প্রজন্ম বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইডে আসক্ত হওয়ার কারণ নিয়ে আরো প্রকোপ পড়েছে এই ঘুম না হয়। ঘুম না আসার কারণ গুলো কি কি আজ আপনাদের জানাবো। চলুন দেরি না করে তাহলে জানাজা ঘুম না আসা কারণ কি
  • ইনসমনিয়া
  • রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম
  • নার্কোলেপসি
  • ঘুমের জন্য সঠিক পরিবেশের অভাব
  • অত্যাধিক পরিমাণের মানসিক দুশ্চিন্তা
  • ল্যাপটপ ফোন ইত্যাদি ইলেকট্রন ডিভাইসের অতিমাত্রা ব্যবহার
  • ক্যাফাইন নিকোটিন ও মাদকদ্রব্য সেবন
  • শরীরচর্চা না করার কারণ
  • অত্যাধিক পরিশ্রমের কারণ
  • ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কারণ
  • খাদ্যভ্যাস
  • জীবনযাত্রার পরিবর্তন
ইনসমনিয়া: টেনশনের মূল কারণ হচ্ছে ইনসমনিয়া রোগ।আমাদের গভীর ঘুমের বাধা সৃষ্টি করে থাকে ইনসমনিয়া রোগ। আমরা অনেক সময়ে দেখে থাকি যে বিছানাতে শুয়ে আছে অনেকক্ষণ ধরে তারপরে ঘুম আসছে না যদিও অনেক চেষ্টার পরে ঘুম আসে একটু পরে তাহা হঠাৎ করে মাঝ রাতে ভেঙ্গে যায়।

তারপর থেকে যত চেষ্টাই করা হোক না কেন আর ঘুম আসে না। এই সমস্যার জন্য আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম না হওয়ার কারণে। তাই অবশ্যই আমাদের এই সমস্যা দূর করতে হলে আমাদের টেনশন মুক্ত থাকতে হবে সব সময়। কারণ ঘুম আমাদের শরীরে বিশ্রাম দেয় এবং অস্তিত্ব ঠিক রাখে।

যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে না পারেন তাহলে আপনা বিভিন্ন কাজে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে। আপনি যদি সারাদিন কাজকর্মে ব্যস্ত থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরে মস্তিতে এর বিশ্রাম প্রয়োজন রয়েছে। কারণ হচ্ছে কথায় আছে সুস্থ বেঁচে থাকার জন্য মূল চাবিকাঠি হল ঘুম।

রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম: বর্তমানে মানুষ এখন অনেক সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছে রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম। অনেকে ঘুমানোর অবস্থায় মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা অনুভব করে থাকে যেমন :আপনি ঘুমিয়ে রয়েছেন কিন্তু আপনার শরীরে হয়তো বা কোন কিছু ঘুরে বেড়াচ্ছে বায়ে উড়ছে এমন অনুভব আপনার মধ্যে দেখা দেয়।

এবং আপনাকে বিভিন্ন অস্থির অনুভাব মনে ঘিরে বেড়াচ্ছে সব সময়। অবশ্য আপনার মধ্যে যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আপনি যত তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন তার মধ্যে অনুসরণ অনুযায়ী চলবেন তাহলে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে।

নার্কোলেপসি: নার্কোলেপসি রোগীরা সব সময় ক্লান্ত অনুভূতি অনুভব করেন। এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা কাজ করতে করতে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ে সারাদিন ক্লান্ত অনুভব করে। এই রোগীরা কখন ঘুমায় আর কখন ঘুম থেকে উঠে এগুলা ঠিক থাকে না। এইসব রোগীরাও কখনো হাস্যর বা কখনো রাগলে খুব উত্তেজিত হয়ে থাকে।

এইসব রোগীরা ঘুমানে অবস্থায় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। যদি এইসব রোগীরা কোন কাজ করতে দেয়া হয় তাহলে কাজের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে আবার হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায় এই কারণে প্রচুর মাথা ব্যথা সৃষ্টি হয়। এই রোগটি যদি রক্তের মেলায় হয় তাহলে এসব রোগীদের হাতে আর ঘুম হয় না।

ঘুমের জন্য সঠিক পরিবেশের অভাব:ঘুম না হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে ঘুমিয়ে জন্য সঠিক পথ বেশির অভাব। আপনি রোমে বা ককে ঘুমান না কেন যদি ঘুমের উপযোগী পরিবেশ না হয় তাহলে কখনোই ঘুম হবে না।

যদি রুমে বিভিন্ন রকমের যানবাহনের আওয়াজ আসে বা রুমে তাপমাত্রা ঠিক না থাকে এবার আলো বাতাসের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে অবশ্যই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। তাই ঘুমের জন্য অবশ্যই সঠিক পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অত্যাধিক পরিমাণের মানসিক দুশ্চিন্তা: ঘুম না আসা আরও একটি বড় কারণ হচ্ছে অত্যাধিক পরিমাণে মানসিক দুশ্চিন্তা। মনের মধ্যে যদি মানসিক দুশ্চিন্তা থাকে তাহলে কোন কাজ কোন কর্ম কোন কিছুই ভালো লাগে না এটাই স্বাভাবিক একটি মানুষের ক্ষেত্রে। প্রায় মানুষ সব সময় কিছু না কিছু দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে।

কারণ মানুষের ওপরে কত দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে এইসব বিষয়ে নিয়ে তারা মানসিক চাপে মধ্যে পড়ে যায়। মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে মানুষ সঠিকভাবে ঘুমাতে পারে না। ঘুম না হওয়ার কারণে তখন মানুষ অসুস্থর দিকে চলে যায়। অবশ্যই দুশ্চিন্তার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন সবাই।

ল্যাপটপ ফোন ইত্যাদি ইলেকট্রন ডিভাইসের অতিমাত্রা ব্যবহার: বর্তমান প্রজন্মের কাছে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া এখন সবকিছু। বর্তমান ঘুম না আসার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ল্যাপটপ ফোন ইত্যাদি ইলেকট্রনিক ডিভাইস অতিমাত্রা ব্যবহারের কারণে।

বর্তমানে প্রায় মানুষই ঘুমানোর আগে ল্যাপটপ বা ফোন নিয়ে সোশ্যাল সাইডে অনেকক্ষণ সময় কাটায়। এই কারণে ঘুমাতে অনেক দেরি হয় যার ফলে মস্তিতে সজাগ হয়ে যায় পরবর্তী সময় আর ঘুম আসার সম্ভাবনা থাকে না।

তারপরে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন ঘুমানোর জন্য পরবর্তী সময় সেটি আর আসে না। তাই ঘুম না আসার বড় কারণ হচ্ছে ইলেকট্রন ডিভাইস অতিমাত্রার ব্যবহার করা।

ক্যাফাইন নিকোটিন ও মাদকদ্রব্য সেবন:ঘুম না আইসা আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ক্যাফাইন নিকোটিন ও মাদকদ্রব্য সেবন।বর্তমানে প্রায়ই মানুষ ঘুমানোর আগে চা, কফি, তামাক জাতীয় মাদকদ্রব্য সেবন করে ঘুমাতে যায়।

অনেকে মনে করেন যে এসব খেলে খুব ভালো একটি ঘুম হয় কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ তাদের জন্য ভুল। এইসব খেলে আমাদের মস্তি তোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় যার ফলে আমাদের ঘুম আসতে অনেক সমস্যা হয়।

শরীরচর্চা না করার কারণ: আমাদের শরীর ও মন ভালো রাখতে অবশ্যই আমাদের প্রতিনিয়ত শরীরচর্চা করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে আমাদের ঘুম না আসার আরো একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শরীরচর্চা না করার কারণ।

প্রতিদিন যদি আপনি নিয়মিত শরীরচর্চা বা এক্সারসাইজ করেন নির্দিষ্ট সময় তাহলে আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং রাতের বেলায় ঘুম তাড়াতাড়ি চলে আসে। কিন্তু যদি আপনি হিমেশ শারীরিক ব্যান্ড বা এক্সারসাইজ না করেন তাহলে আপনার মনে বা শরীরে ক্লান্ত ভাব আসে না পরবর্তী সময়ে ঘুমাতে অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে।

অত্যাধিক পরিশ্রমের কারণ: ঘুম না আসারও একটি বড় কারণ অত্যাধিক পরিশ্রমের। আপনি যদি সারাদিন পরপর পরিশ্রম করেন তাহলে অবশ্যই আপনার হাত-পা শরীর ব্যথা করবে। শরীরে হাত-পা ব্যথা করার কারণ নিয়ে আপনি তখন রাতে আর ঘুমাতে পারেন না। এই শরীরে ব্যথার কারণে ঘুম আসতে চায় না আর।

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কারণ: ঘুম না আসা আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন কারো নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে থাকি। কিন্তু প্রত্যেকটি ওষুধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘুম।

রাতে ঘুম না আসার প্রতিকার কি

রাতে ঘুম না আসার প্রতিকার কি
বর্তমান প্রজন্ম যুবক থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর মানুষ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ওপরে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। তাই অবশ্যই আমাদের উচিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে হবে।


তবে অবশ্যই রাতে ঘুম আসার প্রতিকার কি এগুলো সম্পর্কে অনেকের কাছে অজানা রয়েছে। কিন্তু আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে রাতে ঘুম না আসা প্রতিকার গুলো কি কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে।

আর আপনাকে জানতে হলে অবশ্যই রাতে ঘুম না আসার প্রতিকার গুলো কি কি তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন দেরি না করে তাহলে জানাজাক রাতে ঘুম না আসার প্রতিকার গুলো কি কি
  • প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়া
  • ঘুমের জন্য প্রয়োজন উপযুক্তির পরিবেশ
  • ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করার
  • চা কপি থেকে দূরে থাকা
  • নিয়মিত শরীর চর্চা করা
  • রাত জেগে কাজ না করা
  • ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহণ
  • খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন
  • মেলাটোনিন যুক্ত খাবার গ্রহণ
  • রিলাক্স মুডে ঘুমাতে যেতে হবে
  • টেনশন ডিপ্রেশন কে দূরে সরে রাখতে হবে
প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়া: আমাদের প্রতিটি মানুষের উচিত ঘুমানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা । অবশ্যই আমাদের অভ্যাস তৈরি করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়ার।অবশ্যই আমাদের নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যেতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠে পড়তে হবে।

কারন আপনি যদি নির্দিষ্ট সময় ঘুমান এবং নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে ওঠেন এটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আপনার শরীরের সাথে ঘুমানোর ধীরে ধীরে সবকিছু অভ্যাস হয়ে যাবে। তার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়ার রুটিন তৈরি করতে হবে আপনাকে।

ঘুমের জন্য প্রয়োজন উপযুক্তির পরিবেশ: অবশ্যই ঘুমানোর জন্য প্রয়োজন উপযুক্তির পরিবেশ উপযুক্ত পরিবেশ যদি না পান তাহলে অবশ্যই ঘুমের ব্যাঘাত হবে এটাই স্বাভাবিক। অবশ্য রুমের মধ্যে ঘুমানোর জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে আপনাকে।

রুমের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে হবে। অবশ্যই শান্ত নিঃশব্দ পরিবেশে ঘুম ভালো হয় সেদিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন কিছুর শব্দ বা আওয়াজ না হয়। অর্থাৎ আপনাকে সবদিকে খেয়াল বা নজর রাখতে হবে কারণ ঘুমানোর জন্য প্রয়োজন উপযুক্তির পরিবেশ।

ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করার :বর্তমানে ঘুম না আসার বড় কারণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা। আপনি যদি ঘুমের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফোন ল্যাপটপ ইত্যাদি ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ বা বিরতি রাখতে হবে ঘুমানোর পূর্বে।

যদি আপনি বিরতি না থাকতে পারেন তাহলে আপনার ঘুম আর আসার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। যদি আপনি ঘুমানোর আগে এইসব ডিভাইস যদি থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ঘুম কোন সমস্যা হবে না আসতে।

যদি এসব ডিভাইস নিয়ে আপনি ঘুমাতে যান তাহলে অবশ্য সঠিক ভাবে আপনি ঘুমাতে পারবেন না। সঠিক বিশ্রাম নেয়ার জন্য অবশ্যই এসব ডিভাইস থেকে বিরত থাকুন।

চা কফি থেকে দূরে থাকা: আপনারা হয়তো অনেকের কাছে জানা আছে তা কফি খেলে অনেক সময় ঘুম আসতে সমস্যা হয়। চা কফি খাওয়ার কারণে আমাদের ঘুম আসতে অনেক দেরি হয় বা ঘুম আসে না।তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে ঘুমাতে যাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পূর্বে যা কফি ইত্যাদি পানীয় খাবার থেকে বিরতি থাকবেন।

নিয়মিত শরীর চর্চা করা: আমাদের শরীরের সুস্থ রাখার জন্য আমাদের প্রতিটি মানুষের উচিত নিয়মিত শরীর চর্চা করা। এক্সেসাইজ বা ব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য যেমন খুবই উপকারী এবং ঘুমের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত এক্সারসাইজ করার পরে নির্দিষ্ট সময় রাতের পর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় ঘুম তাড়াতাড়ি চলে আসে।

রাত জেগে কাজ না করা : অনেকে রাত জেগে বিভিন্ন রকমের কাজ করে থাকে কিন্তু এটা কখনোই করা উচিত নয়। কারণ স্বাস্থ্যর উপরে পড়ে এবং স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে রাত জেগে কাজ করে এবং দিনের বেলায় সেই ঘুমের অভাবটি মিটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

কিন্তু এটি কখনো সম্ভব না দিনে বেলায় ঘুমিয়ে সে ঘুম তোলা। কারণ রাতের ঘুমটি হয় অনেক গভীর কিন্তু দিনের বেলায় ঘুম গভীর হয় না আমাদের প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট সময় রাতে ঘুমাতে হবে।

মেলাটোনিন যুক্ত খাবার গ্রহণ: আমাদের খাবারের মেলাটোনিন যুক্ত খাবার গ্রহণ গ্রহণ করলে ঘুমের সমস্যা দূর হবে। মেলাটোনিন যুক্ত খাবার বিভিন্ন প্রকার সহ সবজি ফলমূল। যেমন : শসা, বেদেনা, টমেটো, ব্রকলি ইত্যাদি। শুধু ঘুম আসছে সাহায্য করে না ঘুম কেড়ে স্থায়ী করতে সাহায্য করে।


ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহণ: প্রচুর পরিমান খনিজ পদার্থ রয়েছে ম্যাগনেসিয়ামে। যা আমাদের শরীরের জন্য সাহায্য করে স্টক কমাতে। ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে বিভিন্ন বাদাম, অ্যাভোকাডো, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি। অবশ্যই প্রতিনিয়ত ম্যাগনেসিয়াম খাবারযুক্ত খাবেন। এতে আপনার ঘুমের সমস্যা দূর করবে এবং ঘুম আসবে খুব দ্রুত।

রিলাক্স মুডে ঘুমাতে যেতে হবে : অবশ্যই প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনাকে রিল্যাক্স মুডে ঘুমাতে যেতে।আপনি যদি রিল্যাক্স মুডে ঘুমাতে না যান তাহলে অবশ্যই আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে এটাই স্বাভাবিক হবে।

একটা মানুষের দিনে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

মানুষের দিনে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এই সম্পর্কে জানেনা সঠিক তথ্য বর্তমানে অনেক মানুষ। একটা মানুষ দিনে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত তা নির্ভর করে তার বয়সের উপরে। আপনার লক্ষ্য করলে অবশ্যই দেখতে পাবেন একজন শিশু ও ঘুমাতে পারে সারাদিন কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্ক কখনো ঘুমাতে পারে না।


একটা শিশু বাচ্চা দিনে ঘুমাতে পারে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টায় কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ঘুমাতে পারে সাত থেকে আট ঘন্টা। আশা করি ইতিমধ্যে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলে একটা মানুষ দিনে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত।

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়

ঘুম আমাদের শরীর সুস্থ ও ভালো রাখতে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেমন কারেন্ট না থাকলে সবকিছু অচল তেমনই ঘুম না হলে আমাদের শরীর ক্লান্ত অকার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে মানুষের কাছে এখনো অজানা রয়েছে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এই সম্পর্কে।

যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে অবশ্যই আজকের প্রশ্নের মাধ্যমে জানাবো আপনাদেরকে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই ভিটামিন ডি অভাব থাকলে আমাদের ঘুম কম হতে পারে। কারণ শরীরের মেলাটোনিন হরমোন এ নিরসন করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি।

আমাদের শরীরের জন্য প্রধান কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরে বিভিন্ন হাড়ের ব্যথা জাগে এবং বেশিদের টান পড়ে যায়। অবশ্যই ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি৬ অভাব থাকলে আমাদের সঠিক ঘুম হবে না। এ বিরামিনের অভাবে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়

যাদের ঘুম কম হয় ঘুম আসে না তাদের জন্য আজকে আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এক মিনিটে ঘুম আসা উপায় নিয়ে আসলাম। আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো এক মিনিটে ঘুম আসা উপায় গুলো কি কি সে সম্পর্কে।

আপনি যদি ঘুম নিয়ে সমস্যা হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। চলুন দেরি না করে তাহলে জানাজা এক মিনিটে ঘুম আসার উপায় গুলো কি কি জানা যাক।
  • ঘুমানোর আগে অবশ্যই ৪৫ মিনিট হাঁটাচলা অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • শারীরিক ও মানুষই বিকাশের জন্য প্রতিদিন খেলাধুলা করুন বিকেলে।
  • অবশ্যই প্রতিদিনে খাবার মেনুতে সুষম খাবার রাখুন।
  • যোগব্যায়াম, প্রামাণ্য ব্যায়াম , ইয়োগ ব্যায়াম করুন।
  • যেকোনো ব্যায়াম করুন ১ থেকে ২ ঘন্টা সারাদিনে।
  • অবশ্যই ঘুমানোর পূর্বে একটি ব্যায়াম করুন। পদ্মাসনে বসে হাত গুলো হার্ট স্পর্শ করে গভীরভাবে শ্বাস নিন। এরপরে শ্বাস কিছু সময় ভিতরে ধরে রাখুন তারপর শ্বাস করুন। এভাবে চার থেকে ছয় মিনিট করুন।
  • তারপরে হাত-পা শরীর শিথিল করে আপনি বিছানায় শুয়ে পড়ুন।
  • তারপরে আপনি চোখ বন্ধ করে আপনি কিছু সুন্দর মুহূর্ত কল্পনা অনুভব করতে পারেন। বা এক থেকে এক হাজার পর্যন্ত গুনতেও পারেন।
উল্লিখিত তথ্যগুলো আপনি যদি প্রতিনিয়ত মানতে পারেন তাহলে দেখবেন এক মিনিটের মধ্যে আপনার ঘুম চলে আসবে অবশ্যই। তাই অবশ্যই ঘুমানোর আগে এই রুটিনটি আপনি প্রতিদিন করতে থাকুন। দেখবেন আপনার ঘুমের ব্যাঘাত আর ঘটবে না এবং খুব দ্রুত ঘুম আসবে।

কি খেলে ঘুম ভালো হয়

আপনাদের অনেকের কাছে জানার নেই কি খেলে ঘুম ভালো হয় এই সম্পর্কে। আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব কি খেলে ঘুম ভালোই এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসমূহ। অবশ্যই ঘুমের জন্য দরকার হবে পেট ভরা খাবার। শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে অবশ্যই ঘুমো ভালো হবে।

রাতে ভাতের সাথে মাছ-মাংস ভারী তরকারি দিয়ে ভাত খেলে ঘুম ভালো হয়। আশা করি আপনাদের কি আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে যাতে পেরেছি। যদিও আপনার ঘুম খারাপ হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে আপনাকে।

FAQ।রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন 

রাতে গভীর ঘুম না হওয়ার কারণ কি?

রাতে গভীর ঘুমও না হওয়ার কারণ হচ্ছে মনস্তিত্তের চাপ, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, হাইপারথাইরয়েডিজম,অস্থির পায়ের সিন্ডোম,হৃদযন্ত্রের ব্যথা, মেনোপজ, কিছু ওষুধ যেমন ক্যাফিন,অ্যালকোহল, নিকোটিন ইত্যাদি।

শেষ কথা।রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন 

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে ইতিমধ্যে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছে রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনার কোন উপকার বা কাজে লাগে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

যদি আজকে আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্য আপনাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে শেয়ার করবেন। আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট একটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। তখন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url